প্রথমেই বলে নিচ্ছি “এই পোস্টের তথ্য ব্যাবহার করে যদি আপনি কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন হন তাহলে আমি কিংবা পিসিহেল্পলাইনবিডি কোন ভাবেই দায়ী নয়“। যা করবেন নিজ দায়িত্বে করবেন। এই পোস্টটি শুদু মাত্র ব্ল্যাক ওয়েব সম্পর্কে জানার জন্য, কোন প্রকার খারাপ কাজে বেবহারের জন্য নই। আমি ও ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে তেমন জানিনা, অনেক ব্লগ সাইট ঘুরে এবং কিছু কিছু ব্ল্যাক সাইট ঘুরে যা জানতে পেরেছি তাই আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি।
আসেন আজ ঘুরে আসি ইন্টারনেটের রহস্যময় অন্ধকারজগতে বা ব্ল্যাক ওয়েবে। ব্ল্যাক ওয়েব হল ইন্টারনেটের সেই অংশ যেখানে আপনি সাধারণ উপায়ে যেতে পারেন না। জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে আপনি যখন কোন বিষয়ে সার্চ দেন আর গুগল তার লক্ষ লক্ষ ফলাফল আপনার সামনে হাজির করে তা ইন্টারনেটে থাকা মোট তথ্যের মাত্র ১০ শতাংশ থেকে প্রাপ্ত। এক জরিপে জানা গেছে দৃশ্যমান ওয়েবে যে পরিমাণ ডেটা সংরক্ষিত আছে তার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশী ডেটা সংরক্ষিত আছে অদৃশ্য ওয়েবে। প্রকৃতপক্ষে এই দৃশ্যমান নেট হল মহাসাগরে ভেসে থাকা এক খন্ড হিমবাহ আর ডীপ ওয়েব হল মহাসাগর খোদ নিজে!
কি শুনে মাথা ঘুরে গেল ?
না মাথা ঠাণ্ডা রাখুন সামনে আর মাথা খারাপ করা তথ্য আছে।
এবার চলুন দেখি ব্ল্যাক ওয়েব কি ?
ব্ল্যাক ওয়েবে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হই, তা হলঃ
1 The Deep Web
2 The Dark Web
ডীপ ওয়েব হল ইন্টারনেটের এমন একটা অংশ যা আপনি সার্চ করে পাবেন না , এগুলার লিঙ্ক থাকলে আপনি এখানে জেতে পারবেন ।
আর ডার্ক ওয়েব হল ইন্টারনেটের এমন একটা অংশ যেখানে আপনি সাধারণ ব্রওসার দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেননা। এবং এই অংশটিতে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে হবে।
ভিবিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ ও গ্রুপ চিন্তা করেচে যে ইন্টারনেটে এমন একটি সিস্টেম দরকার যেখানে তারা খুব গোপনে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে। বিপ্লবী, হ্যাকার, এমনকিই খোদ প্রশাসনই এমন এক ব্যবস্থা চেয়েছে যেখানে গোয়েন্দারা খুব গোপনে নিজেদের ভেতর তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে অথবা চুরি যাওয়া তথ্য ফিরে পেতে দর কষাকষি করতে পারবেন অপরাধীদের সাথে। আর এভাবেই উৎপত্তি হয়েছে এই অজানা অংশের। সাথে সাথে এটা প্রলুব্ধ করেছে ওই সমস্ত অপরাধীদের যারা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে মূল ইন্টারনেটে আসতে করতে সাহস পায় না।
ডার্ক ওয়েব ?
আপনার প্রচলিত ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে এই সমস্ত সাইটে ঢুকতে পারবেন না। এরা ইন্টারনেটের সমস্ত প্রথার বাইরে অবস্থান করে। আর এদের ঠিকানাও থাকে এতটাই উদ্ভট (যেমন dfsgsdfgdsfgfd65dfsg54s.onion) যে সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলো মনে রাখা কঠিন। এই অংশটিই ইন্টারনেটের প্রকৃত অদৃশ্য অংশ। বিশেষ কিছু জ্ঞান( যেমন প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, প্রক্সি) না থাকলে আপনি এই নেটওর্য়াকে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই অংশের আরেকটি বিশেষত্ব হল এরা ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাইটগুলোর মত টপ লেভেল ডোমেইন (যেমন .com) ব্যবহার না করে “Pseudo Top Level Domain” ব্যবহার করে যা কিনা মূল ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবে না থেকে দ্বিতীয় আরেকটি নেটওর্য়াকের অধীনে থাকে। এ ধরণের ডোমেইনের ভেতর আছে Bitnet, Onion, Freenet প্রভৃতি।
কি হই এখানে ?
আপনি যা ককনো কল্পানাও করতে পারেননি তাও হই এখানে, এইখানে সব হয়। গান্জা, হেরোইন থেকে শুরু করে এ.কে ৪৭, রকেট লঞ্চার, সুপারি কিলার সবই পাওয়া যায়।
এইখানে যে পরিমান হ্যাকিং টেকনিক রমরমিয়ে বিক্রি হয় তা সাধারনত দৃশ্যমান ওয়েবে সারাদিন পাগলের মত ঘুরলেও পাবেন না। রয়েছে নিষিদ্ধ বই ও দ্রব্যের সম্ভার। আরো আছে বিকৃতরুচির বিনোদোন! শিশু পর্ণোগ্রাফি থেকে শুরু করে নানা ধরনের Genital Mutilation এর ভিডিও যা কিনা সারফেস ওয়েবে নেই, তা এখানকার হট টপিকস।
অনিয়ন নেটওর্য়াকে থাকা ব্ল্যাক মার্কেটগুলোর ভেতর সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Silkroad, ফোর্বসের হিসেবে এখানে গত বছর ২২ মিলিয়ন ডলারের বেচা-কেনা হয়েছিল। আর এখানে প্রচলিত মুদ্রায় বেচাকেনা হয় না, বেচাকেনা হয় Bitcoin নামক একধরণের ভার্চুয়াল মুদ্রাতে। মাইক্রোসফট, অ্যাপেলের প্রোডাক্ট এখানে ৮০% পর্যন্ত ডিস্কাউন্টে পাওয়া যায়।
উইকিলিকস ঘোষণা করেছে যে এ বছর তারা আরো নতুন ডেটা প্রকাশ করবে, কিন্তু আপনিই হয়তো বিস্ময়ভরে দেখতে পারবেন উইকিলিকস এর এই সমস্ত ডেটা এই ডার্ক ওয়েবে আছে বেশ কিছু বছর আগে থেকেই। যেকোন বইয়ের একদম লেটেস্ট এডিশন যা কিনা সারফেস ওয়েবে কপিরাইট ল’এর কারণে নেই তা দেখবেন এখানে দেদারসে আদান প্রদান হচ্ছে।
মোটকথা আপনি এমনই এক জগতে প্রবেশ করবেন যেখানে আপনাকে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলার আগে দুবার ভেবে নিতে হবে।সাধারণ ওয়েবে যেসব হ্যাকিং টেকনিক দেখতে পান তা হল এই ডার্ক ওয়েব থেকে লীক হওয়া ১% তথ্যের অংশ মাত্র। এখানকার হ্যাকাররা খুবই ভয়ংকর এবং প্রোগামিং এ তাদের কোন জুড়ি নেই, সাবধান আপনার মেইল বা পিসি-এ হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
এবার একটু মন চাচ্ছে ত এখান থেকে গুরে আসতে ? ওকে চলুন’ আমি আগেই বলেচি যে আমাদের সাধারণ ব্রাউজার দিয়ে এই ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করা সম্ভব না ” মজিলা টযিলা দিয়ে হবে না। তাহলে কেমন করে যাবেন এই ডার্ক ওয়েবে ? চিন্তা নাই আমি ত আছি এখান থেকে টর ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন
Tor Browser
ব্যাস ডাউনলোড করা শেষ হলে ব্রাউজারটি ওপেন করুন। ও দাঁড়ান নিজের নিরাপত্তার জন্য আপনার ম্যাক এড্রেসটি পরিবর্তন করে নিন। আপনি অনেক ভাবেই ম্যাক এড্রেস পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে যারা ম্যাক এড্রেস পরিবর্তন করতে জানেন না তারা নিছের এই সফটওয়্যাটি ব্যাবহার করুন।
ডাউনলোড
এবার টর ব্রাউজারে এড্রেসবারে লিখুন http://silkroadvb5piz3r.onion/
লগইন পেজ খুলছে ? একটা একাউন্ট রেজিস্টার করেন তারপর লগ ইন করে ফেলেন। তারপর যা দেখার করার আপনি করুন।
নিচে কিছু সাইটের লিঙ্ক দিলাম।
আমেরিকার সিটিজেনশিপ চান ?
দাম ১০০০০ ডলার নিচের অ্যাড্রেসে গুরে আসুন
http://xfnwyig7olypdq5r.onion.to/
http://xfnwyig7olypdq5r.onion.to/
কাউকে একটু ……… প্রফেশনাল হ্যাকার ভাড়া চান ?
নিচের অ্যাড্রেসে ঘুরে আসুন
http://2ogmrlfzdthnwkez.onion.to/
নিচের অ্যাড্রেসে ঘুরে আসুন
http://2ogmrlfzdthnwkez.onion.to/
দয়া করে আর কোন কিছুর লিঙ্ক আমার কাছে চাইবেন না। যদি খুব বেশি ঘুরতে মন চাই তাহলে আর খুঁজে নিন।
তবে খুব সাবধান।
কখনো নিজের নাম বা এড্রেস ব্যাবহার করবেন না।
অবশ্যই ডার্ক ওয়েবে ঢোকার আগে জাভাস্ক্রিপ্ট, ফ্ল্যাশ, শকওয়েভ বন্ধ করে নিবেন
প্রক্সি সার্ভিস ব্যবহার করুন।
আবারো বলছি
“এই পোস্টের তথ্য ব্যাবহার করে যদি আপনি কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন হন তাহলে আমি কিংবা পিসিহেল্পলাইনবিডি কোন ভাবেই দায়ী নয়”
[ COPY - PASTE FROM www.pchelplinebd.com ]
No comments:
Post a Comment